ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার পঞ্চপল্লীতে নির্মাণ শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যার ঘটনার নেতৃত্বে থাকা এক শীর্ষ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ফরিদপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম। তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে তিনি গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় জানাননি সাংবাদিকদের।
জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার পঞ্চপল্লীর মন্দিরে অগ্নিসংযোগের গুজব ছড়িয়ে গ্রামবাসীকে উত্তেজিত করা হয়। তাদের উত্তেজিত করে নানাভাবে একত্রিত করা হয়। সেখানে আসলেই কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করেছে সেটি এখনো পরিষ্কার না। তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
তিনি বলেন, এ ঘটনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং হতাহতদের চিকিৎসা ও দাফন কাজে সার্বিক সহায়তা করায় মামলা রুজুতে কিছুটা সময় নিয়েছে। রাতেই মামলা হবে। মোট তিনটি মামলা হবে বলে তিনি জানান। এরমধ্যে মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, নির্মাণ শ্রমিকদের হতাহত করা ও পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ধৈর্য্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঘটনা বেশি দুরে গড়ায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে সেখানে কি ঘটেছিলো।
এসময় পুলিশ সুপার ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ফরিদপুরের পুলিশ ফোর্স ছাড়াও ঢাকা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনার বিষয়টি জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার পরেরদিনই ছিলো শুক্রবার। জুমার নামাজের পরে যাতে কেউ ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়টি নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে না পারে সেজন্য আমরা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করি। খুবই ধৈর্য্যের সঙ্গে আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সমর্থ হই।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, কোতয়ালী থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর উপস্থিত ছিলেন।
টিএইচ